Gulshon Colony News Update: যে চারজন ধরা পড়েছে তারমধ্যে মধু ও সাজিদ এই মিনি ফিরোজের ডান হাত, বাম হাত বলে এলাকায় পরিচিত। তাই তাঁরা গ্রেফতারের পরেও কেন মিনি ফিরোজকে ধরা যাচ্ছে না সেই প্রশ্ন জোরালভাবে উঠছে।

কলকাতা: গুলি-বোমা-তাণ্ডবের পর পেরিয়ে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। এখনও থমথমে গুলশন কলোনি। চারজন ধরা পড়লেও মূল অভিযুক্ত হিসাবে যার নাম বারবার উঠে আসছে সেই মাস্টারমাইন্ড সেই মিনি ফিরোজের এখনও দেখা নেই। পুলিশর খাতায় ফেরার। অপরাধীদের জায়গা নেই গুলশন কলোনিতে। বলছেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। এরইমধ্যে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করতে দেখা গেল ফিরোজকে। ‘আশা করব আমার রুদ্ররূপ দেখতে হবে না। ফেসবুক রিলেই এ কথা বলতে দেখা গেল তাঁকে।’ তাঁর পোস্ট করা ভিডিয়োতে ছবির সঙ্গে শোনা গেল এমনই ব্যাকগ্রাউন্ড টোন।
কিন্তু কেন এই ফিরোজের টিকিটিও ছুঁতে পারছে না পুলিশ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। স্থানীয় মানুষজন থেকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ, সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের মত এই ফিরোজের মাথায় রয়েছে এক তৃণমূল বিধায়কের হাত। তাঁর ব্যাকআপে নিরাপদেই রয়েছেন ফিরোজ। ফলে সমাজমাধ্যমে ঠান্ডা মাথায় রিল পোস্ট করলেও, চার শাগরেদকে পুলিশ ধরতে পারলেও তাঁকে ধরতে পারছে না।
যে চারজন ধরা পড়েছে তারমধ্যে মধু ও সাজিদ এই মিনি ফিরোজের ডান হাত, বাম হাত বলে এলাকায় পরিচিত। তাই তাঁরা গ্রেফতারের পরেও কেন মিনি ফিরোজকে ধরা যাচ্ছে না সেই প্রশ্ন জোরালভাবে উঠছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা জানিয়ে তাঁরা ওই এলাকায় আতঙ্কের আবহ তৈরি করার জন্যই গিয়েছিল। কাউকে মারার জন্য নয়। এদিকে সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে মিনি ফিরোজ রয়েছে বিহারে। সে নিজেই জানিয়েছে সে কথা।
এদিকে তোপের পর তোপ দেগে চলেছে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার বলছেন, “পুলিশ হয়তো রিলস দেখছে। আনন্দ উপভোগ করছে এসি রুমে বসে। পুলিশ তো ধরবে না। ওর উপরে নাকি বিধায়কের হাত আছে বলে শোনা যাচ্ছে। তাই পুলিশের সেই মেরুদণ্ড নেই ওকে ধরার।”