Balurghat: জেলার বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে সরকারি আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। এদিন চেক তুলে দেন জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা ও পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল। পুজোয় ডিজে নিষিদ্ধ, এছাড়াও প্রশাসনের সমস্ত গাইডলাইন মেনে পুজো করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বালুরঘাট: প্রতিমা যত্রতত্র বিসর্জন করা যাবে না। পুলিশ প্রশাসনের চিহ্নিত করা জায়গায় করতে হবে প্রতিমা বিসর্জন। এমনকি প্রতিমা নিরঞ্জনে সাঁতার না জানা কাউকে নিয়ে যাওয়া যাবে না নদীঘাটে। গতবারের প্রতিমা নিরঞ্জনে গিয়ে দুজনের নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল। তাই সেই দুর্ঘটনা যাতে এবার না ঘটে তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এনিয়ে নেওয়া হয়েছে কড়া ব্যবস্থা।
আর দু’সপ্তাহের পর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আসন্ন দুর্গাপুজো নির্বিঘ্নে করতে শুক্রবার বিকেলে বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন বালুছায়ায় সমন্বয় বৈঠক করলে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা, পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস, এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিকরা৷ এছাড়াও দমকল ও বিদ্যুৎ বিভাগ সহ অন্যান্য বিভাগের কর্মীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিল বিভিন্ন ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা৷ এদিন জেলার বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে সরকারি আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। এদিন চেক তুলে দেন জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা ও পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল। পুজোয় ডিজে নিষিদ্ধ, এছাড়াও প্রশাসনের সমস্ত গাইডলাইন মেনে পুজো করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলাজুড়ে ৫৬১ টি পুজো উদ্যোক্তাকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। আজ থেকেই ওই চেক দেওয়ার পক্রিয়া শুরু করেছে থানা গুলি। বর্ষার মরশুম পুরোপুরি শেষ হয়নি। সেই জায়গা থেকে ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে মন্ডপ চত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হয়েছে। পুজোতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রায় ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যান নিয়ন্ত্রণের জন্য বালুরঘাটে টোটোর নির্দিষ্ট রুট করে দেওয়া হবে। যাতে সকলেই ভাল ভাবে পুজো পরিদর্শন করতে পারে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মন্ডল বলেন, “প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাই এবার ঠিক করা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট নদী ও পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে। সব জায়গায় প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে না। আর সাঁতার না জানা কাউকে আনা যাবে না নদী বা পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই পুজোকে ঘিরে কোন অঘটন যাতে না ঘটে।”