ফিল্মের সঙ্গে যুক্ত বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে রাজ কাপুর জানতে পারেন, সত্যজিৎ নতুন এক গল্প নিয়ে ছবি বানানোর প্ল্যান করছেন। ছবির বিষয়টিও কানে আসে তাঁর। দ্রুত সত্যজিৎকে মুম্বইয়ে আসার আমন্ত্রণ জানান। সত্যজিৎও রাজের সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দেন। তারপর মুম্বই যেতেই যা ঘটে তা বিনোদন দুনিয়ার সাড়া জাগানো ঘটনা।

প্রথম থেকেই সত্যজিৎ রায়ের বড় ফ্যান ছিলেন বলিউডের শো ম্যান রাজ কাপুর। তাই তো সত্যজিতের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মুম্বইয়েও নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন রাজ। কিন্তু এর নেপথ্য়ে যে অন্য কারণ ছিল, তা আন্দাজও করতে পারেননি সত্যজিৎ।
সময়টা ছয়ের দশক। ফিল্মের সঙ্গে যুক্ত বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে রাজ কাপুর জানতে পারেন, সত্যজিৎ নতুন এক গল্প নিয়ে ছবি বানানোর প্ল্যান করছেন। ছবির বিষয়টিও কানে আসে তাঁর। দ্রুত সত্যজিৎকে মুম্বইয়ে আসার আমন্ত্রণ জানান। সত্যজিৎও রাজের সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দেন। তারপর মুম্বই যেতেই যা ঘটে তা বিনোদন দুনিয়ার সাড়া জাগানো ঘটনা।
সেই সময়ের বাংলার এক জনপ্রিয় বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সত্যজিৎ রায় তখন কালজয়ী বাংলা ছবি গুপী গাইন বাঘা বাইন তৈরির প্ল্যান করছিলেন। রাজ কাপুর, পরিচালককে সোজা বললেন, এই ছবি বাংলা নয়, হিন্দিতে তৈরি করুন, আমি প্রযোজনা করব। আর গুপীর চরিত্রে থাকবে আমার ছেলে রণধীর কাপুর! এমনকী, রাজ জানিয়ে ছিলেন, বাংলা থেকেই কাউকে একটা নেওয়া হবে বাঘা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য। তবে তখনও অভিনেতা বেছে নেননি রাজ। রাজের এমন প্রস্তাব শুনে প্রথমে অবাক হন সত্যজিৎ। তবে রাজ কাপুরের এই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিতে বেশি সময় নেননি। পরে এই ছবি প্রযোজনা করেন কলকাতা নিবাসী অসীম দত্ত ও নেপাল দত্ত নামের দুই ভদ্রলোক। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায় গুপী গাইন বাঘা বাইন। বাদ বাকিটা ইতিহাস।
তবে সত্যজিৎ, রাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াতেও তাঁদের বন্ধুত্বে কোনও ছেদ পরেনি। বরং গুপী গাইন বাঘা বাইন দেখে সত্যজিৎকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন রাজ কাপুর।